☠️ফেসবুক অথবা যেকোনো সোশাল মিডিয়া অ্যাাকাউন্ট হ্যাক করার সবচেয়ে কার্যকর ৪ টি পদ্ধতি....

ফেসবুক অথবা যেকোনো সোশাল মিডিয়া অ্যাাকাউন্ট হ্যাক করার সবচেয়ে কার্যকর ৪ টি পদ্ধতি । টাইটেল দেখেই বুঝে যাচ্ছেন আজকে ফেসবুক হ্যাক নিয়ে কিছু বয়ান দিবো । বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া সাইট হচ্ছে ফেসবুক । ২০০৪ সালে জুকার কাকা আর আরো ৩ জন মিলে তৈরি করে এই ফেসবুক নামক সোশাল মিডিয়াটিকে । এই সাইটের ইউজারদের প্রাইভেসি অনেক জোরদার করা হলেও হ্যাকারদের ব্রেইনের তুলনায় কিছুই নাহ । সে জন্য যেকারো ডিভাইস অথবা সোশাল মিডিয়া হ্যাক করার জন্য রয়েছে অনেক অনেক পদ্ধতি । আজ এই স্বল্প পরিসরে অল্প করে ৪ টা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো । তাই চলুন ফালতু পেচাল বাদ দিয়ে শুরু করি । ১। কীলগার কি লগার এর নাম আপনারা অনেকেই শুনেছেন আর অনেকেই ব্যবহার করার চেষ্টাও করেছেন অনেকে সফল হয়েছেন অনেকে হতে পারেন নাই সফল তো যারা জানেন না তাদের জন্য বলি কি লগার হচ্ছে এমন একটা সফটওয়্যার অথবা হার্ডওয়্যার যার মাধ্যমে আপনার কিবোর্ড এর কি গুলোর লগ ফাইল আর এগুলো একটা নির্দিষ্ট স্থানে আপনার ডাটার লগগুলো জমা করা । আর এটি কারো কম্পিটারে ইন্সটল করা থাকলে এক কথায় ভিক্টিমের সকল কিছু থাকবে হ্যাকার এর হাতে। তো বুঝতেই পারছেন কিলগারের পরিধি অনেক ব্যপক । এখন আসা যাক এটা কাজ টা করে কিভাবে? আপনি যখন আপনার কম্পিটারটি ওপেন করেন তখন সাথে সাথে হ্যাকার এর ইন্সটল করা কিলগারও ওপেন হয়ে যাবে আর এর পর থেকে আপনি আপনার কি বোর্ডে যত কি টাইপ করবেন সব কিছুর একটা লগ ফাইল চলে যাবে হ্যাকারের হাতে। এখন প্রশ্ন হতে পারে আপনি আপনার কম্পিউটার তো অন্য কাউকে ধরতে দেন না তাহলে হ্যাকার কি রাতের বেলা চোরের মতো এসে সেটা আপনার কম্পিউটারে ঢুকিয়ে দিয়ে যাবে? নাহ বিষয়টা যে অন্য কেও ইন্সটল করবে তা নয় এমনও হতে পারে আপনি নিজেই নিজের বিপদ ডাকলেন মানে নিজেই ইন্সটল করে ফেললেন এই ম্যালেশিয়াস সফটওয়্যার । বিষয়টা যদি আরো ক্লিয়ার করে বলি তাহলে , মনে করে এখন কার সবচেয়ে জনপ্রিয় টপিক আর সার্চ এ টপ ভলিউম এ আছে ফেসবুক হ্যাক , ওয়াইফাই হ্যাক ব্লা ব্লা । তো এখন আপনি যদি সার্চ করেন ওয়াইফাই হ্যাক অথবা অন্য কিছু লিখেন আর মনে করেন হ্যাকারের সাইটে ঢুকে দেখলেন সেখানে লেখা আছে "ওয়াইফাই হ্যাক সফটওয়্যার , এক ক্লিকে করুন আপনার পাশেরবাসার ওয়াইফাই হ্যাক" মনে করেন সেই সফটওয়্যারটি আপনি নামালেন আর এর মাঝেই কিন্ত আপনার ডিভাইস হ্যাক হয়ে গিয়েছে । এখন আপনি যদি আপনার ফেসবুকে লগিন করে থাকেন তাহলে কিন্ত আপনাকে পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করতে হবে আর যদি বলেন আপনার পাসওয়ার্ড দিয়ে অল্রেডি লগিন করা তাহলে কিভাবে জানবে তখন হ্যাকার আপনার ফেসবুকে বার বার ফোর্স করবে লগিন করার জন্য আর যখন আপনার ডিভাইস হ্যাক হবে আপনি বুঝতেই পারবেন নাহ । এখন আসুন এটা কিভাবে কাজ করে । আপনি যদি কিবোর্ডে কোনো কিছু টাইপ করে থাকেন তাহলে সেই সকল ডেটা হ্যাকারের কাছে চলে যাবে আর একটা হিডেন কি এর মাধ্যমে হ্যাকার আপনার ইনফরমেশন পেয়ে যাবে । ( এই হিডেন কি হ্যাকার দ্বারা নির্ধারিত ) তো বুঝা গেলো কি লগার জিনিসটা কি । তো আসুন এখন জানি কিভাবে এই কিলগার থেকে রক্ষা পেতে পারি আমরা । এটি থেকে বাচতে হলে সর্বপ্রথম অ্যাান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইউস করেন আর অ্যান্টিভাইরাসই যদি হয় ক্র্যাকড তাইলে তো আর কিছু বললাম না :) । আচ্ছা তো প্রথমত ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেন । এরপর পাসওয়্যার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করেন । ২। ফিশিং - ফিশিং কি সেটা সবাই জানেন আর যারা যানেননা তারাই শিকার হন ফিশিং এর । এটা মুলত ধোকা দেয়ার সরূপ । আপনি যখন বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন তখন যেমন মাছ উঠার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয় ফিশিং ও তেমনই একেবারে হুবহু । ফিশিং এর ভিক্টিমের জন্য অনেক সময় লাগে কখন কে লগিন করবে ততক্ষন । কিন্ত পরিচিত মানুষজন যারা ফিশিং চিনে না তাদের কিন্ত খুব সহজেই বাজিমাত করা যায় ।স্বাভাবিক ভাবেই একজন যতই বলদ হোক না কেনো অন্য কোনো সাইটে লগিন করার জন্য একবার হলেও জিজ্ঞেস করবে এটার কাজ কি তখন যদি আপনি ঠিক ভাবে গুছিয়ে না বলতে পারেন তখন খেয়ে যাবেন ধরা । তাই ভিক্টিমের দুর্বলতা গুলো ধরে তারপর বলুন । যেমন কেও ইনকামের উপর অনেক অনেক আগ্রহী । তাই তাকে বলুন যে এই সাইটে লগিন কর / করেন আপনি লগিন করার সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন ১০০০ টাকা আপনার পারসোনাল বিকাশে । এভাবে খুজ সহজেই করে নিতে পারেন হ্যাক । এবার আসুন জানা যাক এটা করে কিভাবে । এটা মূলত করা কঠিন কোনো বিষয় নাহ । এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটা ফ্রি ডোয়েন সেটা কোনো সাবডোমেইন হোক আর যাই হোক ফ্রি অথবা প্রিমিয়াম হলেও হবে । এর পর প্রয়োজন হবে একটা ফ্রি হোস্টিং এর আর এখনকার দুনিয়াতে ফ্রি হোস্টিং এর অভাব নাই । এরপর আপনি সাইট ক্রিয়েট করে হোস্টীং নিবেন আর এরপর ফেসবুক এর যে কোড সেটা আপনার থিম এ বসায় দিবেন তাহলে ১০০০০% জেনুইন মনে হবে ভিক্টিমের কাছে আর যদি এতো প্যারা নিতে মন না চায় তখন আপনি চাইলে যে সাইট গুলো ফ্রিতে করে দেয় এগুলো সেখান থেকে করে নিতে পারেন । তবে এটার সমস্যা হলো সেখানে যে আইডি আর পাসওয়ার্ড পাবেন সেটা শুধু আপনার কাছেই না সাইট এর আসল মালিক এর কাছে থেকে যাবে । ৩। ব্রুট ফোর্স ব্রুট ফোর্স হলো এমন একটা অ্যাটাক যেটা দিয়ে হাজার হাজার পাসওয়ার্ড এর মধে থেকে বাছাই করে পাসওয়ার্ড নেয়া হয়ে থাকে । এর জন্য প্রয়োজন হবে শুধু একটা পাসওয়ার্ড লিস্ট আর গুগলে সার্চ করলে পাসওয়ার্ড লিস্টের অভাব হবে না। তো এখন চলুন জানি যে কত সময় লাগবে ভিক্টিমের পাসওয়ার্ড বের হতে । আমাদের এখনকার সময় আমাদের পাসওয়ার্ড এর ক্যাটাগরি হলো - আইডি এর নাম আর পাশে ডেটঅফ বার্থ , প্রিয়জনের নাম , প্রিয় কোনো জিনিসের নাম ,সংখ্যা ইত্যাদি । এখন মনেকরেন আপনি যদি ১২৩৪৫৬ এমন পাসওয়ার্ড দেন তাহলে হ্যাকারের হ্যাক করতে সময় লাগবে ৩ মিনিট । কারণ প্রথম থেকেই নাম্বার দিয়ে শুরু করে হয় । আপনি যদি ridwanrahman এরমন টাইপের পাসওয়ার্ড দেন হ্যাকারের হ্যাক করতে সময় লাগবে ১১ দিন কারণ প্রথমত নাম্বার শেষ হলে স্মল লেটার এর পর ক্যাপিটাল লেটার এগুলো ট্রাই করা হয়ে থাকে । মনে করেন আপনার পাসওয়ার্ড দিলেন rizwanRAHMAN100 এটা হ্যাক করতে সময় লাগবে ৩ মাস । আবার যদি পাসওয়ার্ড দেন RiZwAn@11RaHmAn এরকম যদি পাসওয়ার্ড করেন তাহলে হ্যাক করতে সময় লাগবে ৪০ বছরের বেশি :) । তাই নিজেদের পাসওয়ার্ড এর কম্বিনেশন ভালো মতো দিন যাতে হ্যাক না হয় । আর যদি চান ব্রুট ফোর্স কিভাবে করে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন বেশি রেস্পন্স পেলে ভিডিও করে দেব । ৪। ম্যান ইন দা মিডেল - যদি এমন হয় ভিক্টিম আর আপনি একি এলাকায় থাকে তাহলে এই অ্যাটাক করতে পারেন । এর জন্য ভিক্টিম যে নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড সেটার সাথে আপনার কানেক্ট থাকা লাগবে । তাহলেই আপনি ভিক্টিমের সোশাল মিডিয়া হ্যাক করতে পারবেন । এর জন্য দরকার একটি ওয়াইফাই কার্ড আর দরকার হবে রাসবেরি পাই । প্রথমত রাসবেরি পাই দিয়ে ভিক্টিমের নেটয়ার্কে কানেক্ট হবে । এরপর এই রাসবেরি পাই দিয়ে ভিক্টিম কে আর ভিক্টিমের ওয়াইফাই রাউটারকে বোকা বানানো হয় । প্রথমত হ্যাকাররা ভিক্টিমের ডিভাইসকে ধুয়ে ফেলে আর তখন ভিক্টিমের ডিভাইসে নিজেকে রাউটার হিসেবে পরিচয় দেয় আর রাউটারকে পরিচয় দেয় ইউসার হিসেবে । কিন্ত এটা করা মোটেও সহজ কোনো বিষয় নয় । এর থেকে বেচে থাকার জন্য সবসময় “https" কানেকশন ব্যবহার করেন আর চাইলে ভিপিএন ব্যবহার করতে পারেন । তো এই ছিল আজকের পোস্ট , মাথার উপর দিয়ে গেছে সব মনে হয় যদি চান এগুলো ভিডিও আকারে পেতে তাহলে এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন আর কমেন্ট করে জানাবেন । ১০ এর মতো কমেন্ট হলে আর ১৫ এর মতো শেয়ার হলে ইন শা আল্লাহ ভিডিও আকারে বলে দেয়ার চেষ্টা করবো । সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আর নেক্সট পোস্ট কোন বিষয়ে করবো অবশ্যই জানাবেন.... HackeRStAY w¡TH CLAY Hacker

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

☠️কিছু অ্যান্ড্রয়েড পেইড সফটওয়ারের লিংক কী সহ দেওয়া আছে।

একজন হ্যাকার হয়ে আমার কিছু কথা।